নিজস্ব প্রতিনিধি: রাঙামাটিতে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা-২৫৬৭ উদযাপন ও গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, রাঙামাটি অঞ্চল। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন করেন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়া।
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, রাঙামাটি অঞ্চলের উদ্যোগে ও আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাইনী মিলায়তনে এই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন ও গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, রাঙামাটি অঞ্চলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুপ্রিয় বড়–য়ার সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি অনির্বান বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
অনুষ্ঠানে দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, যে সমাজে গুণীজনের কদর নেই, সে সমাজে গুণীজন জন্মায় না। সমাজে গুণীজন না জন্মালে, না থাকলে সমাজ এগিয়ে যাবে না। সমাজ না এগিয়ে গেলে, দেশ এগিয়ে যাবে না। তাই তিনি সমাজের গুণীজনদের প্রাপ্য সম্মান ও তাদের প্রতি আন্তরিক হওয়ার আহব্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ মানুষের দু:খ মুক্তির জন্য সাধনা করেছিলেন এবং তিনি তাঁর নবলব্দ জ্ঞানকে জীব ও জগতের কল্যাণে নিবেদন করেছিলেন। তাই আজ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে গৌতম বুদ্ধের অমিয় বাণী চর্চা একান্ত অপরিহার্য।
সর্বশেষ তিনি বলেন, যারা ধর্মকে অপব্যবহার করে মানুষের মধ্যে হানাহানি ও বিরোধ তৈরি করে, সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, তারা ধর্মের সঠিক চর্চাকারী নয়। ধর্মের প্রকৃত দর্শন ও মানবিক চর্চা করা আমাদের সকলেরই উচিৎ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সকলে কে তিনি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাড়ানোর আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সাবেক সভাপতি নেত্রসেন বড়–য়া, সহ-সভাপতি লায়ন মৃদুল কান্তি বড়–য়া, সহ-সভাপতি ভদন্ত স্বরুপানন্দ ভিক্ষু, মুখ্য আলোচক ও সহ-সভাপতি প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়–য়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব প্রজ্ঞাবারিধি অধ্যাপক সুমেধানন্দ মহাথের প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সমাজের গণ্যমান্য ২০জন ব্যক্তিবর্গকে সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়।